Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

পরিবার পরিকল্পনা কী এবং কেন

 

2286e03fa8ef4ad2035ae416c48dc43e

সাধারণ অর্থে পরিবার পরিকল্পনা বলতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বুঝানো হয়ে থাকে । প্রকৃত অর্থে পরিবার পরিকল্পনার সংজ্ঞা অনেক ব্যাপক । পরিকল্পনা হল বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাস্তবতাকে সামনে রেখে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো বা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে পরিকল্পনা বলে। একটি পরিবারের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতির লক্ষ্যে একটি দম্পতি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সচেতনভাবে চিন্তা-ভাবনা করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকেই বলা যায় ‘পরিবার পরিকল্পনা’ । যে-কোন পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠন করা । সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবারের সার্বিক মঙ্গল ও উন্নতিসাধন করাই পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য । স্বামী-স্ত্রী মিলে আলোচনা করে পরিকল্পিতভাবে পরিবার গঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই পরিবার পরিকল্পনা । পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে একজন দম্পতি সর্বমোট কয়টি সন্তান নেবেন, কতদিনের বিরতি নেবেন ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, পরিকল্পনা করে থাকেন এবং জন্ম-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেন ।

জন্মনিয়ন্ত্রণ কী
স্বামী-স্ত্রীর যৌনমিলনের ফলেই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় । সন্তান ধারণে সক্ষম (১৫-8৯) বছর বয়সী একজন মহিলার ডিম্বকোষে অসংখ্য ডিম জমা থাকে । সেখান থেকে প্রতি মাসে একটি ডিম পরিপক্ক হয়ে ডিম্ববাহী নালী দিয়ে জরায়ুর দিকে আসতে থাকে । এই পরিপক্ক ডিমটি সেইসময় যদি পুরুষ শুক্রকীটের সাথে মিলিত হয় তাহলে গর্ভসঞ্চার হয় । শুক্রকীটের সাথে মিলিত না হলে পরিপক্ক এই ডিমটি মাসিকের রক্তস্রাবের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে । জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি দ্বারা ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিলে বা পরিপক্ক ডিম ও শুক্রকীটের মিলনে বাধা সৃষ্টি করা গেলে গর্ভসঞ্চার হতে পারে না । বিভিন্নভাবে গর্ভসঞ্চারে বাধা সৃষ্টি করা যায় । এ গুলোকে জান্মনিন্ত্রন পদ্ধতি বলা হয় । যেমন-

  • ডিম ও শুক্রকীটকে মিলিত হতে দেয় নাঃ যেমন- পুরুষ বন্ধ্যাকরণ, মহিলা বন্ধ্যাকরণ ও কনডম ব্যবহার ।
  • ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিয়ে এবং ডিম্বস্ফুটন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখেঃ যেমন- খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্টের ব্যবহার ।
  • ডিম ও শুক্রকীট মিলিত হয়ে যে ভ্রুণের সৃষ্টি করে সেটিকে জরায়ুতে গ্রথিত হতে দেয় নাঃ যেমন- আইইউডির ব্যবহার ।

এই সকল পদ্ধতির যে কোন একটি ব্যবহার করে গ্রহীতা ইচ্ছা অনুযায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বেছে নিতে হবে
অনেক ধরণের নিরাপদ এবং কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রচলিত আছে । দম্পতিরা ভালোভাবে জেনে বুঝে এগুলোর মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দমতো ও তাদের জন্য উপযুক্ত একটি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন । তবে কোনো পদ্ধতি গ্রহন করার আগে বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন । বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রহীতাদের যখন একটা স্বচ্ছা ধারণা হবে, তখনই তাদের পক্ষে একটি পদ্ধতি বেছে নেয়া সহজ হবে ।

 

আমাদের সেবা সমূহ

  • ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা
  • সাধারণ রোগীর সেবা
  • জরায়ু-মুখের ক্যানসারের পূর্বাবস্থা এবং প্রাথমিক পর্যায়ের স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও রেফার করা
  • নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা পরিচর্যা
  • স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সেবা
  • ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং রেফার করা
  • ইপিআই টিকাদান
  • দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি(আই ইউ ডি, ইমপ্ল্যান্ট)
  • বন্ধ্যা দম্পতিকে পরামর্শ প্রদান ও রেফার করা
  • স্বাস্থ্য শিক্ষামূলক সেবা
  • স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণকারী দম্পতির পুনরায় সন্তান জন্মদানে সক্ষমতার জন্য সেবা
  • বয়ঃসন্ধিকালীন সেবা (কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা)
  • প্রসব সেবা
  • গর্ভোত্তর সেবা
  • গর্ভবতী সেবা
  • মাসিক নিয়মিতকরণ ও গর্ভপাত সংক্রান্ত
  • শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (আরটিআই), প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ (এসটিআই) ও এইচআইভি-সংক্রমণ সেবা
  • পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারজনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও জটিলতা সেবা
  • স্বল্পমেয়াদি অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সেবা (খাবার বড়ি, কনডম, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন)